পরম করুনাময় সর্বশক্তিমান অসীম দয়ালু আল্লাহ্ পাকের নামে, শৃংখলা, একতা, সততা ও বিশ্বাস এই চারটি মূল মন্ত্রের উপর ভিত্তি করে সমিতির কার্যক্রম শুরু করিলাম । যেহেতু আমরা সকল সদস্যবৃন্দের মধ্যে পরস্পরের উপর অঘাত বিশ্বাস সৃষ্টির ফলে একত্রিত হওয়া এবং সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে স্বপ্নচূড়া সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ সমবায় সমিতি লি: নামে একটি সংগঠনের সূত্রপাত করিলাম । যাহা সকল সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হবে । সেহেতু আমরা প্রত্যেকে সদস্য সম্মিলিতভাবে নিম্নলিখিত শর্তাবলী উপ-আইন হিসাবে পালন ও মান্য করতে বাধয থাকবো ।
সমিতির নাম ও ঠিকানাঃ-
সমিতির নামঃ- স্বপ্নচূড়া সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেড (বাংলাদেশ সরকারের সমবায় মন্ত্রালয় কর্তৃক অনুমোদিত) রেজি: নং ১৬৫/কে, তারিখ: ১৬/১১/২০১৭ইং ।
বাড়ি নং- এন ডি-৬৫ রোড নং- ২৬৪, নতুন কলোনী, হাউজিং এষ্টেট, থানাঃ-খালিশপুর, উপজেলঃ- দিঘলিয়া, জেলাঃ- খুলনা-৯০০০ ।
মোবাইল নং – +৮৮০-১৯৮৫-৩১৩২৬৩; +৮৮০-১৬৭৩-৪৬৫০৩৩
ই-মেইল : info@shapnachurasomityltdbd.com; shapnachurasomity@gmail.com
ওয়েবসাইট : www.shapnachurasomityltdbd.com
Facebook :www.facebook.com/shapnachurasomity
সমিতির সদস্য নির্বাচনী এলাকাঃ- সমগ্র দিঘলিয়া উপজেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ ।
যাহারা সদস্য হইবেন তাদের প্রত্যেকেই
ক) ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা করিয়া ভর্ত্তি ফিস দিতে হইবে।
খ) ৫০০/- (পাঁচশত) টাকার অন্তত ০১ (এক) টি শেয়ার ক্রয়সহ শেয়ার মূল্যের সমপরিমাণ টাকা সঞ্চয় আমানত হিসাবে জমা দিতে হইবে।
গ) সদস্যের তালিকা বহিতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়া দস্তখত বা টিপসহি দিতে হইবে।
ঘ) সমিতির উপ-আইনসমূহ মানিয়া চলিবার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হইবে।
ঙ) নতুন সদস্য ভর্তির ক্ষেত্রে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হইবে।
কেহ সভ্যের অধিকার কিংবা সুবিধাদি ভোগ করিতে পারিবেনা যতক্ষণ না তিনিঃ
সদস্যের মনোনীত ব্যক্তি –
সমিতির প্রত্যেক সদস্য এমন একজন একক ব্যক্তিকে মনোনীত করিবেন, সদস্যের মৃত্যুর পর অথবা অন্য কোন কারণে সদস্যপদ হারাইলে তাহার অনুপস্থিতে তাহার শেয়ার এবং তৎসংক্রান্ত যাবতীয় অধিকার ও দায় দায়িত্ব অর্জন করিবেন। এই ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত কোন আইন প্রযোজ্য হইবে না। সদস্য ইচ্ছা করিলে যে কোন সময়ে তাহার মনোনয়ন লিখিতবাবে পরিবর্তন বা বাতিল করিতে পারিবেন।
সদস্যপদ প্রত্যাহার –
কোন সদস্য যদি নেজে অথবা জামিনদার হিসাবে সমিতির নিকট ঋণী না থাকেন তাহা হইলে ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট ০১ (এক) মাসের লিখিত নোটিশ দিয়া সদস্যপদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, কিন্তু এরূপ ক্ষেত্রে সদস্য পদত্যাগীকে সমিতির কোন পাওনা ঋণ বা অগ্রিম থাকিলে তাহা শেয়ার বা আমানত হইতে কর্তন করিয়া রাখা যাইবে। সদস্যের শেয়ার আমানত কোন সদস্যের নিকট অথবা নতুন কোন সদস্য বরাবর হস্তান্তর করা যাইবে। সমিতি কোন শেয়ার ক্রয় করিবে না ।
নিম্নলিখিত কারনে সদস্যপদের অবসান হইবে সদস্যপদের অবসান –
ক) সমস্ত শেয়ার বাজেয়াপ্ত বা হস্তান্তরিত হইলে ।
খ) সদস্যপদের যোগ্যতা হারাইলে
গ) সদস্যপদ প্রত্যাহার করিলে।
ঘ) মৃত্যু ঘটিলে।
ঙ) ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক সদস্যপদ রহিত হইলে।
চ) আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা অপ্রকৃতস্থ ঘোষিত হইলে।
সদস্য বহিস্কার ও অপসারণ –
(১) কোন সদস্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার বিবেচনায় যদি ইচ্ছাপূর্বক আইন, বিধিমালা, উপ-আইন বা সমিতির প্রণীত অন্য কোন নিয়ম লংঘন করেন, তাহা হইলে ৭ (সাত) দিনের নোটিশ দিয়া উপ-আইনের বিধান ও সমবায় সমিতি আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী তাহাকে জরিমানা, পদচ্যুত বা সদস্যপদ রহিত করা যাইবে।
(২) বাতিলকৃত সদস্যের পাওনা শেয়ার বা আমানত সম্বন্ধে ব্যবস্থাপনা কমিটি যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে। সদস্যপদের যোগ্যত হারাইলে উক্ত ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনা কমিটি পরবর্তী সাধারণ সভায় অনুমোদন সাপেক্ষ সদস্যপদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে।
সমিতির সদস্যগণের অধিকার ও দায়বদ্ধতা –
(ক) সদস্যের অধিকারঃ- সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর ধারা ৩৬ হইতে ৪১ পর্যন্ত এবং সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ এর বিধি ৮৭ হইতে ৯১ পর্যন্ত কার্যক্রম হইবে।
(খ) সদস্যের দায়ঃ- সমিতির দেনার জন্য সদস্যগণ স্ব-স্ব কর্তৃক ক্রয়কৃত শেয়ারের হার পর্যন্ত দায়ী হইবে।
(গ) প্রতিনিধি মনোনয়নঃ- ব্যবস্থাপনা কমিটি এই সমিতির কেন্দ্রীয় বা জাতীয় সমিতিতে সমিতির সদস্যদের মধ্য হইতে একজন সদস্যকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মনোনয়ন দিবেন।
(ঘ) সমিতির সদস্যগণকে প্রতিমাসে ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত পরিমান সঞ্চয় আমানত বাবদ অর্থ সমিতিতে জমা দিতে হবে।
(ঙ) প্রত্যেক সদস্যকে প্রতি সমবায় বর্ষে কমপক্ষে ০১ (এক) টি শেয়ার খরিদ করিতে হইবে।
(চ) পর পর ০৩ (তিন) মাস কোন সদস্য সঞ্চয় আমানত জমা প্রদানে ব্যর্থ হইলে বা সমবায় বর্ষের মধ্যে কমপক্ষে ০১ (এক) টি শেয়ার খরিদ করিতে ব্যর্থ হইলে উক্ত সদস্যের সদস্যপদ সাময়িক ভাবে রহিত করা হইবে।
(ছ) সদস্যপদ রহিত প্রত্যাহার করিতে হইলে সকল প্রকার বকেয়াসহ ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত জরিমানার অর্থ সমিতিতে জমা দিতে হইবে।
(জ) সকল প্রকার বকেয়াসহ জরিমানার অর্থ সমিতিতে জমা প্রদান করা হইলে ব্যবস্থাপনা কমিটি উক্ত সদস্যের সদস্যপদ বহালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া সদস্যকে জানাইয়া দিবে।
মূলধন সৃষ্টির উপায় সমবায় আইন, বিধিমালা এবং এই উপ-আইনের বিধান মান্য করিয়া নিম্নলিখিতভাবে সমিতির মূলধন সংগ্রহ করা যাইতে পারেঃ –
(ক) শেয়ার বিক্রয়।
(খ) সদস্যের নিকট হইতে আমানত গ্রহণ।
(গ) কেন্দ্রীয় সমিতি, কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে তবে সদস্য ব্যতিত কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কোন আমানত বা ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে না।
(ঘ) সরকারি বা অন্যত্র হইতে অনুদান বা ঋণ গ্রহণ।
(ঙ) সম্পত্তি, ব্যবসায়, কারবার বা অন্যান্য আয় হইতে।
অনুমোদিত শেয়ার মূলধন –
সমিতির অনুমোদিত শেয়ার মূলধনের পরিমাণ ২,০০,০০,০০০ (দুই কোটি) টাকা হইবে এবং প্রতি শেয়ারের মূল্য হইবে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা এবং ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) টি শেয়ারে বিভক্ত হবে। সদস্য ব্যতীত অন্য কেউ শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবেন না ।
সদস্যদের ঋণ গ্রহণের সীমা –
শেয়ার বাবদ প্রদত্ত টাকার ৪০ গুণের অধিক কোন সদস্যই কর্জ পাইবেন না। ঋণ গ্রহণের শর্তাবলী সমিতি কর্তৃক ঋণ নীতিমালা প্রণয়ন পূর্বক নীতিমালা মোতাবেক লেনদেন হইবে। সদস্য ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়া যাইবে না।
সাধারণ সভা –
প্রতি বৎসর অডিট অফিসার কর্তৃক বার্ষিক নিরীক্ষা কার্য সম্পাদনের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সকল সদস্য সমন্বয়ে বিধি মোতাবেক বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠান যথারীত হইবে। বিশেষ কারণে সমিতি বিধি মোতাবেক বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বায়ন করিতে পারিবে ।
সাধারণ সভা অনুষ্ঠান –
সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর ধারা ১৬ হইতে ১৭ পর্যন্ত এবং সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ এর বিধি ১৩ হইতে ২১ পর্যন্ত অনুসরণপূর্বক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভা বা তলবী সভা অনুষ্ঠান করিতে হইবে ।
সমিতির ব্যবস্থাপনা –
ব্যবস্থাপনা কমিটিঃ(১) সমিতির পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব সমবায় সমিতি আইন, বিধিমালা ও উপ-আইন মোতাবেক ০৬ (ছয়) সদস্য বিশিষ্ট একটি ব্যবস্থাপনা কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সাধারণ সভায় সম্পাদন যোগ্য কার্য ব্যতীত সমিতির সকল কার্য উক্ত কমিটি সম্পাদন করিবে। নিবন্ধনকালে নিয়োগকৃত ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ হইবে ০২ (দুই) বৎসর। পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনা কমিটি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ০৩ (তিন) বৎসরের জন্য নির্বাচিত হইবেন। তিন বৎসর পূর্তির পূর্বে কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন সম্পন্ন করিতে হইবে। ০৬ (ছয়) সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যগণ নি¤œলিখিত পদধারী হইবেনঃ-
(১) সভাপতি – জনাব মো: কাজী মোকলেছুর রহমান
(২) সহ-সভাপতি – জনাব মো: মো: শহিদুল ইসলাম
(৩) সম্পাদক – জনাব মো: আবুল কালাম আজাদ
(৪) কোষাধ্যক্ষ – জনাব মো: ওয়াহিদুজ্জামান
(৫) সদস্য – জনাব দিলিপ কুমার ভাদুড়ী
(৬) সদস্য – জনাব মো: পলাশ হোসেন
(২) নির্ধাররিত মেয়াদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করা না হইলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথেই উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হইবে এবং নিবন্ধক সমিতির সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১২০ দিনের জন্য ০১ (এক) টি অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ করিবেন।
(৩) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্যের পদ কোন কারণে শূণ্য হইলে ব্যবস্থাপনা কমিটি উক্ত পদে নির্বাচিত হইবার যোগ্য সদস্যকে কো-অপ্ট করিয়া শূন্যপদ পূরণ করিবেন।
উপদেষ্টা মন্ডলীঃ
ক) জনাব কাজী সাইফুল ইসলাম।
খ) জনাব মো: আলমগীর হোসেন লিবুল।
ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন পদ্ধতি –
সমবায় আইনের ধারা ১৮ (২) এবং বিধি ২২-৩৬ এর বিধান সাপেক্ষ সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণ সাধারণ সভায় নির্বাচিত হইবেন ।
উপ-আইন যাহাই থাকুক না কেন সমিতিতে ধার্যকৃত নিরীক্ষা ফি এবং সমবায় আইনের ৩৪ ধারা অনুযায়ী ধার্যকৃত সমবায় উন্নয়ন তহবিল বকেয়া থাকিলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণকে কোন ভাতা দেওয়া যাইবে না ।
ব্যবস্থাপনা কমিটির ক্ষমতাঃ- ব্যবস্থাপনা কমিটি নিম্নরূপ কার্যাদি সম্পন্ন করিতে পারিবে;
(১) নতুন সদস্য ভর্তি,
(২) তহবিল উন্নীতকরণ,
(৩) সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে আইন ও উপ-আইনের বিধান মতে বর্তমান কোন সদস্যকে অপসারণ, বহিস্কার বা সদস্যপদ স্থগিত অথবা জরিমানা করা।
(৪) তহবিল বিনিয়োগ,
(৫) সমিতির স্বার্থে মামলা দায়ের, পরিচালনা ও আপোষ করা।
(৬) শেয়ার আবেদনপত্র নিষ্পত্তি করা।
(৭) ঋণের আবেদন নিষ্পত্তি এবং তাহার বিপরীতে জামানত নির্ধারণ করা,
(৮) বিশেষ ধরণের কাজের জন্য উপ কমিটি গঠন করা।
(৯) হিসাবসংরক্ষণ ও হিসাব বিবরণী প্রস্তুতকরণ ।
সম্পত্তি বিক্রয়, বিনিময়ের উপর বিধিনিষেধ –
সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে আইনের বিধানমতে নিবন্ধকের অনুমতি ব্যতিত ইহার স্থাবর সম্পত্তি এবং যন্ত্রপাতি বা যানবাহনের ন্যায় সম্পত্তি যাহা সমিতির মূলধনের অংশ তাহা বিক্রয়, বিনিময় বা ০৫ (পাঁচ) বৎসরের অতিরিক্ত সময়ের জন্য ইজারা প্রদানের মাধ্যমে হস্তান্তর করিতে পারিবে না ।
মূলধন তৈরি –
ব্যবসায়ের প্রারম্ভিক মূলধন হিসাবে প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে সঞ্চয় গ্রহণ ও শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে জমি ক্রয় ও অন্যান্য কার্যাদি পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে ।
হিসাব পরিচালনা –
জনতা ব্যাংক খালিশপুর শাখায় সঞ্চয় হিসাব খোলার মাধ্যমে লেনদেন পরিচালনা করা হবে। যাহার চলতি হিসাব নং ২৭৪৮/৫ ।
ব্যাংক হিসাব পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধি নিয়োগ –
স্বপ্নচূড়া সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিঃ এর ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করার জন্য উপস্থিত সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে জনতা ব্যাংক খালিশপুর শাখায় একটি সঞ্চয় হিসাব খোলা হবে। উক্ত ব্যাংক হিসাব পরিচালনা ও দৈনন্দিন লেনদেন পরিচালনা করার জন্য কমিটির মধ্যে থেকে তিন জনের ক্ষমতা দেওয়া হলো। উক্ত তিন জনের মধ্যে সভাপতি সহ যে কোন দুই জনের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করা হবে ।
ক) সভাপতিঃ জনাব মো: কাজী মোকলেছুর রহমান।
খ) সহঃসভাপতিঃ জনাব মো: শহিদুল ইসলাম।
গ) সম্পাদকঃ জনাব মো: আবুল কালাম আজাদ।
মাসিক কিস্তি –
প্রতি মাসে ১,০০০ (এক হাজার) টাকা করে সঞ্চয় জমা করতে হব । প্রত্যকে মাসরে কিস্তি যথা সময়ে পরশিোধ করতে র্ব্যথ হলে উক্ত কস্তিরি পরমিানরে উপর ভিত্তি করে ২.৫% হারে বলিম্ব ফি দিতে বাধ্য থাকব ।
ঋণ কিস্তি বিলম্ব ফি –
লোন গ্রহণ কারী সদস্য প্রত্যেক মাসের কিস্তি যথা সময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে উক্ত কিস্তির পরিমানের উপর ভিত্তি করে ৫% হারে বিলম্ব ফি দিতে বাধ্য থাকবে।
সদস্য পদ পত্যাহার –
যদি কোন সদস্য তাহার সদস্যপদ প্রত্যাহার করিবার ইচ্ছা ব্যক্ত করে, তবে তার মেয়াদ পাঁচ বছর হতে হবে, এবং সভাপ্রতি বরাবর দরখাস্তের মাধ্যমে জানাতে হবে। অত:পর দরখাস্তের ০৩ (তিন) মাস পরে তাহার জমাকৃত টাকার ২০% ব্যতিরেকে মূলধন তিন কিস্তিতে ৮০% চলতি হিসাবের লাভ ও ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ পূর্বক প্রাপ্ত অর্থ পরিশোধ করা হবে ।
ঋণ বন্টন –
ক) বর্তমান সদস্যদের মদ্যে ঋণ প্রদান করা যাবে, যাহা পরিচালনা কমিটি কর্তৃক অনুমোদন দেওয়া হবে। লোন প্রদানের মাধ্যমে প্রাপ্ত লভ্যাশের অর্থ সমিতির তহবিল বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে । খ) ঋণ প্রদানকালে সমিতির পরিচালনা কমিটির কাছে ব্ল্যাঙ্ক চেক, স্ট্যাম্প, ছবিসহ এক জন স্বাক্ষী ও একজন জামিদার সহ প্রত্যেকের ভোটার আইডির (NID) ফটোকপি, কমিশনারের সার্টিফিকেট এবং মোবাইল নং প্রদান করতে হবে ।
চুক্তি ও কাগজ পত্রে স্বাক্ষর দান –
লোন/ব্যবসায়ের যাবতীয় কাগজ পত্রে পক্ষেসভাপতি, সহ-সভাপতি ও সেক্রেটারী স্বাক্ষর দ্বারা পরিচালিত হবে ।
প্রসাশনিক কার্যক্রম –
নিয়োগ ও ক্রয় ক্ষেত্রে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পদক ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে কার্য সম্পাদন করবেন ।
সদস্যে অসুস্থ/মৃত্যু –
সকলের সম্মতিক্রমে তার অর্থ প্রদেয় হবে। সেক্ষেত্রে মেয়াদ কমপক্ষে পাঁচ বছর হতে হবে । অন্যথায় লভ্যাংশ ব্যতিরেকে মূলধন ফেরত দেয়া হবে। তবে তার উত্তরাধিকারী যদি সদস্য থাকতে চান তাহলে থাকতে পারবে ।
শৃঙ্খলা –
কোন সদস্য পর পর দুইবার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে নির্বাহী কমিটির সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাহার সদস্য পদ বাতিল করা হবে। সেক্ষেত্রে শাস্তিমূলক তাহার প্রাপ্ত অর্থের ২০% কেটে নেয়ার পর অবশিষ্ঠ অর্থ ফেরত পূর্বক সদস্য পদ বাতিল করা হবে ।
ব্যক্তিগত জবাবদিহি –
কোন সদস্য তার নিজেস্ব ব্যাপারে নির্বাহী কমিটির কোন সদস্যকে ব্যক্তিগত ভাবে জবাবদিহি করতে পারবে না। বরং নিয়মানুযায়ী কমিটি বরাবর তার লিখিত অভিযোগ পেশ করলে কমিটি তার জবাব দিতে বাধ্য থাকবে ।
নমিনী –
প্রত্যেক সদস্যের উত্তরাধিকারীগণদের নাম ও ছবি প্রত্যেক সদস্য দ্বারা স্বাক্ষর করত: অত্র দপ্তরে প্রেরণ করতে অনুরোধ করা হলো ।
নমিনী পরিবর্তন –
কোন সদস্য তাহার নমিনী পরিবর্তন করতে চাইলে তার যথাযথ কারন দর্শানো পূর্বক অত্র দপ্তরে লিখিত দরখাস্ত প্রেরণ করতে হবে ।
সদস্য সংগ্রহ –
সঞ্চয়ী মনোভাবাপন্ন যে সমস্ত পুরুষ ও মহিলা যাহারা সরকারী বেসরকারী চাকুরীর (কর্মকতা কর্মচারী) চাকুরীর সাথে জড়িত অথবা অবসর প্রাপ্ত কোন সরকারী/বেসরকারী কর্মর্কতা সমিতির সদস্য নির্বাচনী এলাকায় বসবাস করেন, সৎ চরিত্র এবং ১৮ বছরের উর্দ্ধে তাহারাই এই সমিতির সদস্য হইতে পারিবেন ।
সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ –
উপস্থিত সকল সদস্যদের সিদ্ধান্তনুযায়ী ১০০ (একশত) জনের অধিক সদস্য ভর্তি করা জাবে না ।
সমিতির ব্যবসার ধরন –
১। বহুতল ভবন নির্মান,
২। এক্সক্লুসিভ সপ
৩। মডেল মেডিসিন কর্ণার
৪। জমি ক্রয়/বিক্রয়
৫। হাসপাতাল/ক্লিনিক নির্মান ও পরিচালনা করা
৬। স্কুল নির্মান ও পরিচালনা করা
৭। ফুড এ্যান্ড বেভারেজ ফ্যাক্টারী ইত্যাদী।
ব্যবসায়ের কার্য এলাকা –
বৃহত্তর খুলনা শহর। তবে ব্যসায়ের প্রয়োজনে দেশের যে কোন এলায় ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে।
ব্যবসায়র উদ্দেশ্য ও প্রকৃতি –
ক) সদস্যদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বহুতল ভবন নির্মান ও প্রত্যেক সদস্যদেও মাঝে ফ্লাট বন্টন/জমি বিক্রয়/ফ্লাট বিক্রয়ের থেকে অর্জিত লভ্যাংশ সদস্যদের মাঝে বন্টনঃ
১) জমির মালিক সমিতি।
২) আগামী ২০২১ সালের মার্চ মাসে সয়েল টেষ্ট ,আগষ্ট মাসে পাইলিং এবং আনুমানিক ২০২৪ খ্রিঃ ইং ভবন তৈরীর কাজ শেষ হবে।
৩) সমিতি জমির উপর ভবন নির্মান শেষে লটারির মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের ফ্লাট নিদ্ধারণ করার পর, সদস্যের কাছ থেকে প্রতিটি ফ্লাটের ধার্য্যকৃত মূল্য বুঝিয়া পাইলে, সমিতি ফ্লাট রেজিষ্টেশন করে দিতে বাধ্য থাকবে।
৪) সদস্যের জমাকৃত আমানত, জমিক্রয়ের জন্য অগ্রীম, ভবন নির্মাণের জন্য ধার্য্যকৃত অগ্রীম টাকা এই তিনের সমষ্টি সহ মোট ১৫,০০০০০/- (পনের লক্ষ) ২০২৬ ইং তারিখের মধ্যে সমিতিকে পরিশোধ করতে হবে।
৫) সদস্যের জমি ক্রয়ের জন্য অগ্রীম, ভবন নির্মাণের জন্য ধার্য্যকৃত অগ্রীম টাকার পরিশোধের পর সমিতি সমিতির প্যাডে লিখিত সভাপতি, সম্পাদক ও দুই জন সাক্ষীগণের যৌথ স¦াক্ষর প্রাপ্তি শিকার সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
খ) সদস্য/সদস্যদের শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রতিষ্টিত করা।
গ) সমিতির সদস্যদের কল্যাণার্থে বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যে কোন উদ্দশ্য বাস্তবায়ন করা।
ঘ) সদস্যদের নিকট হতে সঞ্চয় আমানত গ্রহণ করে তহবিল গঠন এবং উক্ত তহবিল হতে সদস্যদের ঋণ প্রদান।
ঙ) সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য জমি ক্রয় ও বিক্রয়, আবাসন সমস্যা নিরসনে প্লট ক্রয় ও বিক্রয়, পরিবহন ব্যবসা, কুটির শিল্প স্থাপন, হস্ত শিল্প, কৃষি খামার, মৎস্য খামার, ও গবাদি পশু পালন পৃভৃতি বিষয়ে প্রকল্প গ্রহণ ও তা বাস্থবান করা।
চ) সমিতির কর্ম এলাকায় স্থানীয় সংগঠন, কমিটি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সদস্যগণের জীবনমান উন্নয়নের ব্যবস্থা করা।
ছ) দারিদ্র বিমোচন সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ।
জ) সমিতির সদস্যদের মধ্যে উৎপাদনমূখী নানা ধরনের কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান। এছাড়াও সমিতির সকল সদস্যদের নিয়ে সামগ্রীক ভাবে উৎপাদন মূখী কার্যক্রম করা।
ঝ) পাবিারিক পর্যায়ে সদস্যগনকে হাস, মুরগী পালন গবাদি পশুর উন্নয়ন কৃত্রিম প্রজনন, দুগ্ধ জাত দ্রব্যের ব্যবসা, মৎস্য চাষ, সবজি চাষাবাদ, ফলফলাদির আবাদ সদস্যগনের প্রয়োজনীয় অন্যান্য পেশার কাজে উৎসাহ প্রদানে সহযোগীতা করা।
ঞ) সমবায় নীতি ও আদর্শ বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংগঠন ভিত্তিক পরিকল্পিত জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করা।
ট) বেকারত্ব দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থানর সযযোগ সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীল পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণ, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
ঠ) উপরোল্লিখিত উদ্দেশ্য সাধারণের জন্য দেশের প্রচলিত আইন প্রতিপালনপূর্বক সমিতি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করিবে।
ড) বাবস্থাপনা কমিটি সমিতি পরিচালনার জন্য একটি সাধারণ সীলমোহর রাখিবে এবং উহা সম্পাদকের নিকট থাকিবে।
ক্রমিক নং | বিবরণ | সদস্য নং | পদবী | স্বাক্ষর |
---|---|---|---|---|
০১ | মো: কাজী মোকলেছুর রহমান | ০০০১ | সভাপতি | |
০২ | মো: আবুল কালাম আজাদ | ০০০৩ | সম্পাদক | |
০৩ | মো: ওয়াহিদুজ্জামান | ০০০৪ | কোষাধক্ষ | |
০৪ | কাজী তৌফিকুর রহমান | ০০০৬ | সদস্য | |
০৫ | মো: জহির রায়হান | ০০০৬ | সদস্য | |
০৬ | দিলীপ কুমার ভাদুড়ী | ০০০৯ | সদস্য | |
০৭ | মো: শহিদুল ইসলাম | ০০১০ | সহ-সভাপতি | |
০৮ | তানজিলা আক্তার | ০০১২ | সদস্য | |
০৯ | খাদিজা খানম | ০০১৩ | সদস্য | |
১০ | মিসেস আঞ্জম বেগম | ০০১৫ | সদস্য | |
১১ | মিসেস অহিদা সুলতানা | ০০১৭ | সদস্য | |
১২ | আঞ্জম আরা পারভীন | ০০২১ | সদস্য | |
১৩ | ফাহাদ হাসান শুভো | ০০২২ | সদস্য | |
১৪ | কাজী সাইফুল ইসলাম | ০০২৩ | সদস্য | |
১৫ | মিসেস লিপা খাতুন | ০০২৪ | সদস্য | |
১৬ | মো: পলাশ হোসেন | ০০২৭ | সদস্য | |
১৭ | মো: আলমগীল হোসেন (লিবুল) | ০০৩১ | সদস্য | |
১৮ | সোনিয়া আলম মিতা | ০০৩৫ | সদস্য | |
১৯ | মিসেস ফিলোজা ইসলাম | ০০৪৫ | সদস্য | |
২০ | মো: মহিবুল্লাহ | ০০৫১ | সদস্য | |
২১ | সালমা আক্তার | ০০৫৫ | সদস্য | |
২২ | হালিমা খাতুন | ০০৫৭ | সদস্য |
এই মম্যে প্রত্যয়ন পত্র দিতেছি যে,
(১) উপরোক্ত ব্যক্তিগণ আমার সম্মূখে স্বাক্ষর করেছেন।
(২) তাহারা সকলের সমবায়ী মনোভাবাপন্ন এবং সমিতির এলাকার বাসিন্দা।
(৩) অত্র এলাকায় এই নামে কোন সমবায় সমিতি নাই।
(৪) তাহারা সমবায় আইন, বিধিমালা, নীতিমালা ও উপ-আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।